আলমগীর কবীর:
গাজীপুর জেলা সদর থানাধীন মির্জাপুর,মনিপুর তালতলা এলাকায় সন্তান ও নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক মা। গুরুতর আহত অবস্থায় মা-ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রানা‘র বাবা রেজাউল ইসলাম,স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক করাখানায় চাকরি করি আমরা। রাতে আমার ডিউটি থাকায় করাখানায় ছিলাম। আমার সহকর্মী ফোনে জানান,কে যেন আপনার ছেলের গলা ও হাত-পা কেটে দিয়েছে।
ফোন পাওয়ার কতৃপক্ষকে জানিয়ে আমি দ্রুত করাখানা থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তায় দেখতে পাই,ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার সহকর্মী নিয়ে আসছে।
অপরদিকে স্ত্রীকে আগেই অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেছে স্থানীয়রা । পরে তাদের দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
হালিমার স্বামী রেজাউল ইসলাম জানান,ছেলে তাকে বলেছে,মা রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে এসে আমার গলা ও হাতে কোপ দেয়। পরে মা নিজের গলা কেটে মরে যাওয়ার (আত্মহত্যার) চেষ্টা করে। কেন তার স্ত্রী এই কাজ করলেন ? উত্তরে কিছুই বলতে পারেননি রেজাউল।
আহত ছেলের নাম মো. রানা (৮)। আর মায়ের নাম মোছা.হালিমা খাতুন (৩০) ছেলেকে পঙ্গু হাসপাতালে, আর মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার আলমনগর গ্রামে। তারা গাজীপুরের তালতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.বাচ্চু মিয়া বলেন,গাজীপুর থেকে মা এবং সন্তান গলা কাটা অবস্থায় এসেছে। আমরা জানতে পেরেছি সন্তানকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার পর নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হালিমা। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি।